কম্পিউটারের প্রজন্ম | কম্পিউটার প্রজন্ম কয়টি ও কি কি | Computer Generation
কম্পিউটারের প্রজন্ম
Computer Generation
👨প্রজন্ম কি বর্তমানে যে সমস্ত কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে তা কিন্তু একদিনে তৈরি হয়নি কম্পিউটার তৈরির পিছনে রয়েছে অনেক বিজ্ঞানীর অক্লান্ত পরিশ্রম কম্পিউটার ইতিহাস সম্পর্কে আমরা এর আগেই পোস্ট দিয়েছি। কম্পিউটার প্রজন্ম আমার ওয়েবসাইটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই বিভিন্ন প্রকার বৈদ্যুতিক যন্ত্রের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কম্পিউটার সিস্টেম ও উন্নতি ঘটতে শুরু করে। প্রথম বিদ্যুৎ চালিত কম্পিউটার এনিয়াক থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের অব্দি কম্পিউটার প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে সেই সময় কালে আমরা পাঁচটি প্রজন্ম বা জেনারেশনের ভাগ করতে পারি। এই পাঁচটি কম্পিউটারের প্রজন্ম সম্পর্কে আজকে আমাদের আলোচনা আশাকরি টোটাল পোস্টটি দেখলে কম্পিউটারের প্রজন্ম সম্পর্কে আর কোন সন্দেহ থাকবে না।
কম্পিউটার প্রজন্ম কয়টি ও কি কি
প্রথম প্রজন্ম ফার্স্ট জেনারেশন 1942 থেকে 1955
Frist Generation of computer
11942 সাল থেকে 1955 সাল পর্যন্ত যে সমস্ত
কম্পিউটার ব্যবহার করা হতো সেই সমস্ত কম্পিউটার গুলিকে প্রথম কোন প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয় এটি একটি ইলেকট্রিক যন্ত্র
প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
1 কম্পিউটারের ইলেকট্রনিক এর মুখ্য যন্ত্রাংশ ভ্যাকুয়াম টিউব এটি হলো প্রচুর তাপ উৎপাদনকা
2.প্রজন্মের কম্পিউটার গুলির আকৃতি ছিল সর্ববৃহৎ।
3.এই কম্পিউটার গুলির কাজ করার গতি ছিল অত্যন্ত ধীর অথবা কম।
4.তথ্যের ভিত্তিতে ফল প্রকাশের ক্ষমতা ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের।
৫.এই প্রজন্মের কম্পিউটার গুলো ছিল অত্যন্ত মূল্যবান অনেক দামি।
উদাহরণ
কয়েকটি প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের নাম হল ইয়েন আইএসসি ইদি এসএসসি মার্ক ওয়ান।
দ্বিতীয় প্রজন্ম সেকেন্ড জেনারেশন 1956 থেকে 1964
Second Generation of computer
1956 থেকে 1964 সাল পর্যন্ত যে সমস্ত কম্পিউটার গুলি ব্যবহার করা হতো সেগুলির দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের মধ্যে পড়ে এই দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের প্রধান উপাদান গুলি হল ট্রানজিস্টার ট্রানজিস্টার আবিষ্কার করেন লাইব্রেরীতে 1947 সালে ওয়ান্টেড ব্রিটেন ও উয়িলিয়াম ও জন বারদী।
দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
****জ্যাক মা
১.এই প্রজন্মের কম্পিউটার গুলিতে ভ্যাকুয়াম টিউব এর পরিবর্তে ট্রানজিস্টর এর ব্যবহার এর ফলে কম্পিউটার গুলি আকারে প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার থেকে কিছুটা ছোট ছিল
২.পূর্বের কম্পিউটার গুলি থেকে এই প্রজন্মের কম্পিউটার গুলির বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেশি ছিল
৩.পূর্বের কম্পিউটার গুলির থেকে এই কম্পিউটারের গতি ছিল অনেক বেশি
৪.এই প্রজন্মের কম্পিউটার গুলিতে অনেক কম বিদ্যুৎ খরচ হতো এবং তাপ ও গম উৎপন্ন হতো
উদাহরণ
কয়েকটি দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের নাম হল আইবিএম 7030 আইবিএম 1401 হনীওয়েল 400 ইত্যাদি।
তৃতীয় প্রজন্ম থার্ড জেনারেশন 1965 থেকে 1974
Third Generation of computer
1965 থেকে 1974 পর্যন্ত যে কম্পিউটার গুলি ব্যবহার করা হতো তাদেরকে তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হতো। এই প্রজন্মের কম্পিউটারে উল্লেখযোগ্য উপাদান হলো ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট এর শর্টকাট আইসি আবিষ্কার করেন রবার্ট নাইস এবং জ্যাক কিলবি। এই আইসি চিপ এর দৈর্ঘ্য হল 16 থেকে 18 মিলি মিটার এবং প্রস্থ হল 6 থেকে 8 মিলি মিটার ও উচ্চতা হলো এক থেকে তিন মিলিমিটার।
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
১.এই কম্পিউটারগুলোতে আইসিটি ব্যবহারের ফলে এই প্রজন্মের কম্পিউটার গুলি প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার থেকে আকারে ছোট হয়ে পড়ে
২.পূর্বের কম্পিউটার গুলির তুলনায় এই প্রজন্মের কম্পিউটারের মেমোরি ছিল খুব উন্নত।
৩.এই কম্পিউটার গুলি বিদ্যুৎ খরচ ছিল পূর্বের তুলনায় অনেক কম এবং এই কম্পিউটারগুলোতে খুবই কম তাপ উৎপন্ন হতো।
৪.পূর্বের কম্পিউটারের তুলনায় এই প্রজন্মের কম্পিউটার গুলি ছিল অত্যন্ত বেশি নির্ভরযোগ্য মানে বিশ্বাসযোগ্য।
৫.এই কম্পিউটার গুলির মূল্য ছিল পূর্বের কম্পিউটারগুলোর তুলনায় অনেক কম।
উদাহরণ
কয়েকটি তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে উদাহরণ হল আইসিএল 1900 আইবিএম 360 আইবিএম 370 আইসিএল 2900 ইত্যাদি
চতুর্থ প্রজন্ম ফোর্থ জেনারেশন 1975 থেকে বর্তমান সময়
Fourth Generation of computer
1975 সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যে কম্পিউটার গুলি আমরা ব্যবহার করি সে গুলোকে চতুর্থ প্রজন্মের ফিডার বলে গণ্য করা হয়। এই প্রজন্মের কম্পিউটারের প্রধান উপাদান হলো ক লার্জ সেল আইসিসির আকার 5 বর্গ মিলিমিটার উচ্চতা হল এক থেকে তিন মিলিমিটার এই প্রজন্মের কম্পিউটারে মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার হয়।
চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
১.এই প্রজন্মের কম্পিউটার চালানোর জন্য খুব কম পরিমাপে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।
২.এই কম্পিউটার গুলির আকার খুবই ছোট।
৩.এই কম্পিউটার গুলো খুব তাড়াতাড়ি কাজ করতে পারে।
৪.এই প্রজন্মের কম্পিউটার গুলো খুব কম তাপ উৎপন্ন করে।
উদাহারন
কয়েকটি চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ হল স্টার 1000 dec10 ইত্যাদি।
পঞ্চম প্রজন্ম Fifth Generation of Computer
বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এর কাজের চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার ব্যবহার করা হলেও কিছু ত্রুটি দেখা যায়। যেমন আমাদের তথ্য বা প্রোগ্রামের ভুল থাকলে কম্পিউটার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়। কম্পিউটারের মধ্যে এইরকম অসঙ্গতি দেখা যায়। কারণ কম্পিউটার নিজস্ব চিন্তাশক্তি বা বুদ্ধিমত্তা নেই এই কারণে বর্তমান যুগের বিজ্ঞানীরা মানুষের ন্যায় চিন্তাশক্তি তে চিন্তাশক্তি যুক্ত কম্পিউটার আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চালিয়ে computer
বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এর কাজের চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার ব্যবহার করা হলেও কিছু ত্রুটি দেখা যায়। যেমন আমাদের তথ্য বা প্রোগ্রামের ভুল থাকলে কম্পিউটার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়। কম্পিউটারের মধ্যে এইরকম অসঙ্গতি দেখা যায়। কারণ কম্পিউটার নিজস্ব চিন্তাশক্তি বা বুদ্ধিমত্তা নেই এই কারণে বর্তমান যুগের বিজ্ঞানীরা মানুষের ন্যায় চিন্তাশক্তি তে চিন্তাশক্তি যুক্ত কম্পিউটার আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
👉ঘরে বসে টাকা ইনকামের উপায়
পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
১.এই কম্পিউটার গুলি প্রচন্ড গতিতে কাজ করতে পারবে।
২.কম্পিউটার গুলি স্তরেজ ক্যাপাচিটি এর ক্ষমতা অনেক বেশি থাকবে।
৩.বিটার গুলি লাগার অনেক ছোট হবে হাতের তালুতে থেকে যাবে।
৪.কম্পিউটার গুলির মূল্য খুবই কম।
৫.আল্ট্রা লার্জ আই সি এ কম্পিউটার গুলিতে ব্যবহার করা হয়।
👨আশা করি আপনারা সমস্ত কম্পিউটারের প্রজন্ম গুলো বুঝতে পেরেছেন। অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন কম্পিউটারের প্রজন্ম কি জেনারেশন অফ কম্পিউটার ইত্যাদি প্রশ্ন করে থাকেন। তাই আমি আজকে আপনাদেরকে সম্পুর্ন বাংলা ভাষায় কম্পিউটারের step-by-step প্রজন্মকে ওয়েবসাইটে দিয়ে দিলাম। যদি কোনো বুঝতে সমস্যা হয় অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন যদি একটুখানি ও আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।
.jpg)






