Side Effects of Headphones: এক টানা হেডফোন ব্যবহার করেন? সতর্ক হন, হারাতে হতে পারে শ্রবণশক্তি
Headphones: হেডফোন বা ইয়ারবাড ব্যবহার করার সমসয় ৬০ ডেসিবেলের উপর ভলিউম বাড়াবেন না। ভলিউমের পরিমাণ ৬০ থেকে ৮০-এর ঘরে পৌঁছলেই তা শ্রবণ শক্তি হারানোর ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
বাসে-ট্রামে সর্বত্র লোকজনকে লক্ষ্য করে দেখবেন একটি জিনিস ধরা পড়বেই। তা হল কানে হেডফোন। ট্রাভেল করার পথে বা বাড়িতে সারাক্ষনই কানে হেডফোন গুঁজে রাখতে পছন্দ করে অনেকেই।
খুব স্বাভাবিকভাবেই এই অভ্যাস ভাল নয়। এই অভ্যাসের ফলে শরীরে একাধিক সমস্যা হতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে নয়া তথ্য। কী বলছে গবেষণা? আসুন দেখে নেওয়া যাক...
বিএমজে হেলথ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করার ফলে হারাতে হতে পারে শ্রবণ শক্তি। শুধু তাই-ই নয় এই গবেষণায় উঠে এসেছে আরও বেশ কিছু অজানা তথ্য।
গবেষণায় ধরা পড়েছে বেশিরভাগ মানুষই ১০৫ ডেসিবেলের কাছাকাছি ভলিউমে গান শোনেন। যা স্বাভাবিক ভলিউমের থেকে অনেকটাই বেশি। বিশ্বের প্রায় ০.৭-১.৪ বিলিয়ন মানুষ শ্রবণ শক্তি হারানোর মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
হঠাৎ অত্যধিক আওয়াজ শোনার ফলে কান সংবেদনশীল হয়ে যেতে পারে। জোর আওয়াজ কান পর্যন্ত নাও পৌঁছতে পারে। দূরের আওয়াজ ভেঙে-ভেঙে কানে পৌঁছতে পারে। কিংবা আওয়াজ অনেকটা চাপা শোনাতে পারে।
একই কথা শুনতে না পাওয়ার দরুণ, তা শোনার জন্য বারেবারে লোকজনকে বিরক্ত করতে পারেন। কানের ভিতর সমানে কিছু একটা বেজে চলেছে এমনটা মনে হতে পারে।
এবার প্রশ্ন হল এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন?হেডফোন বা ইয়ারবাড ব্যবহার করার সমসয় ৬০ ডেসিবেলের উপর ভলিউম বাড়াবেন না। ভলিউমের পরিমাণ ৬০ থেকে ৮০-এর ঘরে পৌঁছলেই তা শ্রবণ শক্তি হারানোর ঝুঁকি বাড়াতে পারে
ইয়ারফোন কানে ভিতর পর্যন্ত ঢুকে থাকে। অন্যদিকে হেডফোন ইয়ারড্রামের সঙ্গে খানিক দূরত্ব বজায় রাখে। যা ইয়ারফোনের থেকে বেশি উপকারি। তাই ইয়ারফোনের পরিবর্তে হেডফোন ব্যবহার করুন।
একইভাবে হেডফোন ব্যবহার করবেন না। মাঝে-মাঝে বিরতি নিন। সহজ হিসেব, ৩০ মিনিট একইভাবে হেডফোন ব্যবহার করার পর ৫ মিনিটের ছোট্ট একটা বিরতি নিন। ৬০ মিনিট ইয়ারফোন ব্যবহার করলে বিরতি নিতে হবে ১০ মিনিট।
কারও সঙ্গে হেডফোন বা ইয়ারফোন শেয়ার করবেন না। এতে সমস্যা বাড়তে পারে। এবং হেডফোন ব্যবহার করার আগে অবশ্যই তা স্যানিটাইজ় করুন।
এছাড়াও খেয়া রাখেতে হবে আরও একটি বিষয়। সবসময় চেষ্টা করুন নয়েজ ক্যান্সেলেশনযুক্ত হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করার। এতে কান বেশি সুরক্ষিত থাকবে।
.jpg)
